সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : একদিকে করোনার আতঙ্ক অপরদিকে প্রকৃতি। আকাশের কোণে কালো মেঘ দেখলেই ভয় করছে ঘুড়ি প্রেমীদের। কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি' তবুও উৎসবকে উপেক্ষা করা যায় না। প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানো বাঙালির উৎসব বলা যায়। কারণ নীল আকাশের মাঝে পেটকাটি, দেড়তে, চিৎকাটি সহ বিভিন্ন মার্কার ঘুড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিক চিহ্নর ঘুড়ি দেখা যায় আকাশে। কিন্তু করোনারকালে অনেকটাই বাজার মনদা। ঘুড়ি বিক্রেতা থেকে কারিগর সকলেরই মাথায় হাত। কারন বিক্রির হার অনেকটাই কমেছে। ৫০০ টাকা গড়ে আয় হতো আগে। সেই অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকায় । এই টাকায় পরিবারের সদস্যদের কি উপহার দেবে সেই জায়গায় যেমন প্রশ্ন চিহ্ন আছে পাশাপাশি যারা ঘুড়ি উরাচ্ছে তাদের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়ে আকাশ। কারন আকাশের কোণে মাঝে মাঝে উঁকি মারছে ঘন কালো মেঘ। তবুও তা উপেক্ষা করে নতুন আশায় বুক বেঁধে নতুন প্রজন্মের ছেলেরা ভীড় করেছে শেওড়াফুলি স্টেশন সংলগ্ন ঘুড়ির দোকানে। বেছে নিচ্ছে তাদের মনের মত ঘুড়ি এবং সুতো। আগের দিন থেকে মাঞ্জা দেওয়া রাত জাগা যে উদ্দীপন ছিল সেটা অনেকটাই ভাটা পড়েছে। কারণ সুতোর যেমন দাম বেড়েছে পাশাপাশি দাম বেড়েছে অন্যান্য জিনিসের। কমেছে আয়ের উৎস। তাহলে কি বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি করবে না তা নয়। তাই এই বছরটা প্রায় নমো নমো করে আকাশে উড়বে সাত রংয়ের পেটকাটি, ছাঁপাচিল, দেড়তে,ময়ূরপক্ষী, সহ নানান নামের ঘুড়ি।