আকাশের মুখ ভার : তবু ঘুড়ি ওড়ানোর প্রস্তুতি শুরু

16th September 2021 4:23 pm হুগলী
আকাশের মুখ ভার : তবু ঘুড়ি ওড়ানোর প্রস্তুতি শুরু


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : একদিকে করোনার আতঙ্ক অপরদিকে প্রকৃতি। আকাশের কোণে কালো মেঘ দেখলেই ভয় করছে ঘুড়ি প্রেমীদের। কখনো মেঘ কখনো বৃষ্টি' তবুও উৎসবকে উপেক্ষা করা যায় না। প্রতিবছর বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি ওড়ানো বাঙালির উৎসব বলা যায়। কারণ নীল আকাশের মাঝে পেটকাটি, দেড়তে, চিৎকাটি সহ  বিভিন্ন মার্কার ঘুড়ির পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিক চিহ্নর ঘুড়ি দেখা যায় আকাশে। কিন্তু করোনারকালে অনেকটাই বাজার মনদা। ঘুড়ি বিক্রেতা থেকে কারিগর সকলেরই মাথায় হাত। কারন বিক্রির হার অনেকটাই কমেছে। ৫০০ টাকা গড়ে আয় হতো আগে। সেই অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে ১০০ থেকে ২০০ টাকায় । এই টাকায় পরিবারের সদস্যদের কি উপহার দেবে সেই জায়গায় যেমন প্রশ্ন চিহ্ন আছে  পাশাপাশি যারা ঘুড়ি উরাচ্ছে তাদের কাছে আতঙ্ক  হয়ে দাঁড়িয়ে   আকাশ।  কারন আকাশের কোণে মাঝে মাঝে উঁকি মারছে ঘন কালো মেঘ। তবুও তা উপেক্ষা করে নতুন আশায় বুক বেঁধে নতুন প্রজন্মের ছেলেরা ভীড় করেছে শেওড়াফুলি স্টেশন সংলগ্ন ঘুড়ির দোকানে। বেছে নিচ্ছে তাদের মনের মত ঘুড়ি এবং সুতো। আগের দিন থেকে মাঞ্জা দেওয়া রাত জাগা যে উদ্দীপন ছিল সেটা অনেকটাই ভাটা পড়েছে। কারণ সুতোর যেমন দাম বেড়েছে পাশাপাশি দাম বেড়েছে অন্যান্য জিনিসের। কমেছে আয়ের উৎস। তাহলে কি বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘুড়ি করবে না তা  নয়। তাই এই বছরটা প্রায় নমো নমো করে আকাশে উড়বে সাত রংয়ের পেটকাটি, ছাঁপাচিল, দেড়তে,ময়ূরপক্ষী, সহ নানান নামের ঘুড়ি।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।